বরগুনা সদর উপজেলার ৬ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ইউপি সদস্য প্রার্থীকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।
বুড়িরচর ইউনিয়নের কামরাবাদ এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবিরের সমর্থকদের মধ্যে রোববার রাত ১০টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শহিদুল ইসলাম মিলন সংঘর্ষের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
আহত ইউপি সদস্য প্রার্থীর নাম মো. রিয়াজ। তিনি নৌকার মনোনীত প্রার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবিরের একটি সভা চলছিল। সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থকরা সেখান দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যেই সংঘর্ষ বাঁধে।
রিয়াজের অভিযোগ, ‘আমরা কামরাবাদ বাজার হয়ে বরগুনা সদরের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির ও তার সমর্থকরা আমাদের ধাওয়া করে। দা-লাঠি দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
‘আমার মাথায় কোপ দেয়। এমনকি আমরা যাতে যেতে না পারি, সে জন্য গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে রাখে।’
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি টানা দুবার এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আমার জনপ্রিয়তা দেখে তারা এমন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। সাধারণ জনগণকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। হামলা, ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা কখনও জনগণের ভোট পাবে না। আমি হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানাই।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘আমার কর্মীরা সভা শেষে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ সিদ্দিকুরের সমর্থকরা এসে পেছন থেকে আমাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। আর আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
‘আমার কর্মীরা জীবন বাঁচাতে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে আসে। তারা আমাদের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওসি-তদন্ত শহিদুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষে পর রিয়াজকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।