বরিশালের আবাসিক হোটেল থেকে মিরন হালদার নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পাশে পাওয়া গেছে চেতনানাশক ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর সদর রোডের হোটেল এরিনার একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মিরনের বাড়ি বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভাতশালা গ্রামে। ওই উপজেলার একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ছিলেন তিনি।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিতে মিরন হোটেলটিতে যান। রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডাকাডাকি করে দরজা না খুললে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ গিয়ে মাস্টার চাবি দিয়ে দরজা খুলে বিছানায় তার মৃতদেহ পায়। এ সময় তার হাতে ক্যানোলা পরা ছিল। আর বিছানা ও ব্যাগে পাওয়া যায় চেতনানাশক ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ।
নিহত যুবকের ভগ্নিপতি অভিজিৎ হালদার জানান, মিরন নেশাগ্রস্থ ছিলেন না। পরিবারের সঙ্গেও কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। কেন, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পারছেন না।
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়। তার হাতে ক্যানোলা পরা ছিল। সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। বিছানায় চেতনানাশক ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ পাওয়া গেছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মিরনের মরদেহ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।