মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় কৃষক লালচাঁন কাজী হত্যা মামলায় চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডেরও আদেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক মীর রুহুল আমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন।
সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার জামসা গ্রামের জমির হোসেন, জহুর আলী, সুমন হোসেন এবং মতিয়ার রহমান।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার অপর আট আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুস সালাম। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন কাজী ওয়াজেদ আলী ও একেএম কাইছার।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল নিজের জমিতে কৃষক লালচাঁনকে দেশি অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন জমির, জহুর, সুমন এবং মতিয়ার। সেই সময় লালচাঁনের কাছ থেকে একটা স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকায় নেয়ার পথেই লালচাঁনের মৃত্যু হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনার পর লালচাঁনের বাবা জামাল কাজী শিবালয় থানায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে ও পাঁচ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার কয়েক দিন পরই আট জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাকি আসামিরা আদালতে আত্মসর্মপণ করলে ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত র্কমর্কতা তৎকালীন শিবালয় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল।
মামলার ১৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষে রোববার রায় দেয় আদালত।
আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, রায়ে তারা সন্তুষ্ট নন। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।