বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না চবি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ মার্চ, ২০২১ ১৯:৫৪

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। সেই চিঠির  বিষয়টি দেখছি। ইতিমধ্যে শিক্ষক মাইদুলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বিষয়টি এখন আদালতের এখতিয়ারের অধীন। পাশাপাশি আরেক শিক্ষক রাহমান নাসির উদ্দিনের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুৎসা রটানোর প্রমাণ মেলার পরেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রহমান নাসির উদ্দিন এবং সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গেল ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুৎসা রটানোর প্রমাণ পাওয়ার কথা জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দিন ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুৎসা রটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দায়িত্বশীল পদে থেকেও মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করে বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দেয়া অসদাচরণের শামিল এবং এ কারণে ড. রাহমান নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত আইন, ২০০৯) অনুসারে মামলা হয়েছে বলে জানা যায়। মামলার সর্বশেষ অবস্থা অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। সেই চিঠির বিষয়টি দেখছি। ইতিমধ্যে শিক্ষক মাইদুলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বিষয়টি এখন আদালতের এখতিয়ারের অধীন। পাশাপাশি আরেক শিক্ষক রাহমান নাসির উদ্দিনের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’

এর আগে চবি শিক্ষক ড. রাহমান নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘কটূক্তি’ এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগ ওঠে চবি সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে মাইদুলের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার উদ্দিন আয়াজ। এরপর ছাত্রলীগের হুমকির মুখে ক্যাম্পাস ছাড়েন মাইদুল। ওই মামলায় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ৩৭ দিন কারাগারে ছিলেন তিনি।

তবে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাহমান নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি চবি কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেয়ে শনিবার ফোন দিলে সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম বলেন, 'আমি চিঠির বিষয়ে কিছু জানি না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে এই ব্যাপারে কিছু জানানোও হয়নি।'

এই বিষয়ে জানতে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাহমান নাসির উদ্দীনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে চিঠির বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার। তিনি বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। বিষয়টি আমি দেখব।’

এ বিভাগের আরো খবর