বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জোড়া খুনের ২০ বছর পর রায়, ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

  •    
  • ২১ মার্চ, ২০২১ ১৫:০৭

মামলার ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, চারজনকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। মামলার আরও ৩৯ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

শরীয়তপুরে পিপি হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনির মুন্সি হত্যা মামলার ২০ বছর পর রায় দিয়েছে আদালত।

মামলার ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, চারজনকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। মামলার আরও ৩৯ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত হোসাইন রোববার দুপুরে এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন শাহিন কোতোয়াল, শহীদ কোতোয়াল, সফিক কোতোয়াল, মো. সোলায়মান, শহীদ তালুকদার ও মো. মজিবর।

যাবজ্জীবন পাওয়ারা হলেন সরোয়ার হোসেন বাবুল তালুকদার, ডাবলু তালুকদার, বাবুল খান ও টোকাই রশিদ।

এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে মন্টু তালু, জাকির হোসেন মঞ্জু ও আসলাম সরদারকে সাজা দেয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। যার মধ্যে দুইজন ফাঁসির দণ্ড পাওয়া।

মামলার রায়ে অবশ্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হত্যার শিকার দুই পরিবার। রায়ের পর আদালত চত্বরেই বিক্ষোভ করে হাবিবুর রহমানের ছেলে পৌর মেয়র পারভেজ রহমানের সর্থকরা।

দুপুর আড়াইটার দিকে তারা শরীয়তপুর-মাদারীপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পারভেজ রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দুই পরিবার এই রায়ে শতভাগ সন্তুষ্ট নয়। কারণ এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন আসামি, যাদের ফাঁসির আদেশ হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।

‘যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি গুলি করার অভিযোগ রয়েছে তাদেরকেও খালাস দেয়া হয়েছে। যে আসামিদের খালাস দেয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’

২০০১ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোবারেক আলী সিকদার ও স্বতন্ত্রী প্রার্থী হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেবের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছিল।

পরে ৮ অক্টোবর ওইসব কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাই ভোটের আগে ৫ তারিখ হাবিবুর রহমানের বাসভবনে আওয়ামী লীগের সভা চলছিল। ওই সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমায়েতের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ব্রাশফায়ার করে হাবিবুর ও তার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা মনির মুন্সিকে হত্যা করে।

হাবিবুর রহমান ছিলেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আর তার ভাই মনির মুন্সি ছিলেন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত রহমান হেমায়েতকে প্রধান আসামি করে ৫৫ জনের নামে হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ তদন্তে হেমায়েতের নাম বাদ দিয়ে ২০০৩ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার বাদী আদালতে নারাজি দেন। আদালত ওই আবেদন নাকচ করে।

হেমায়েত পরবর্তী নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মামলায় নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করেন। ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় হেমায়েত মারা যান।

এরপর আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। ২০১৩ সালে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দেয় পুলিশ। ওই মামলার অন্য দুই আসামি শাহজাহান মাঝি ও সান কোতোয়াল মৃত্যুবরণ করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর