চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছিল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, তখন মাফ চেয়ে ঘটনা মিটমাট করেছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। তবে এবার তাকে আটক করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় শনিবার বিকেলে ওই ঘটনা ঘটে।
রাতে অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক একই উপজেলার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে ওই মাদ্রাসা ও হেফজখানার ছাত্র। গতকাল বিকেলে ছেলেকে বিশেষ পড়া শেখানোর কথা বলে মাদ্রাসায় ওই শিক্ষক তার খাসকামরায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেন। পরে আমার ছেলে বাড়িতে এসে আমার কাছে নির্যাতনের বিষয়টি জানায়।
‘বিষয়টি জেনে আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি। বিষয়টি চাপা থাকলেও সন্ধ্যার পর তা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১০টার দিকে মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন গ্রামের লোকজন।’
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, এর আগেও ওই শিক্ষক একই অপরাধ করে মাফ চেয়ে পার পেয়ে যান। কিন্তু এবার তাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিশু বলাৎকারের ঘটনাটি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
ওসি আরও জানান, রোববার মামলা করবেন বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার। মামলা হলে অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষককের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।