বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন নথুল্লাবাদ এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে আল আমিন নামে ২৪ বছর বয়সী এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গলায় দাগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল আমিনের স্ত্রীসহ ছয়জনকে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় নেয়া হয়েছে। তবে তাদের কাউকে আটক করা হয়নি।
স্বজনদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে।
মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নথুল্লাবাদের শরীফ আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার ১২৬ নম্বর কক্ষের বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় মরদেহটি খুঁজে পায় তারা।
মৃত আল আমিন রাজধানীর বাংলা মোটর এলাকায় ট্রান্সমিটার কোম্পানি প্রিন্স করপোরেশনের জুনিয়র অফিসার। তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার করমন্দাশা এলাকার মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে।
আল আমিনের বোন লাকি আক্তার জানান, প্রেম করে মাসখানেক আগে বিয়ে করেন তার ভাই। স্ত্রী ইসরাত জাহান মীম সরকারি বরিশাল কলেজের ছাত্রী। তার পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি।
শুক্রবার ঢাকা থেকে এসে ওই হোটেলে স্ত্রীকে নিয়ে ওঠেন আল আমিন।
লাকি আক্তারের অভিযোগ, এলাকার কিছু লোকজন এনে পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
আল আমিনের বাবা মোস্তফা হাওলাদার জানান, মিম তাকে ফোন করে বলেছেন, আল আমিন নথুল্লাবাদে এক্সিডেন্ট করছে।
‘এখন আইসা দেখতেছি আমার ছেলে মারা গেছে। এখন ওরে কারা মারছে, কি করছে আমি কিছু জানি না। আমার একটাই ছেলে। ও আত্মহত্যা করার লোক না। এই ঘটনাটার সুষ্ঠু তদন্ত চাই আমি’- বাবার কণ্ঠে একই সঙ্গে শোক ও ক্ষোভ ঝরে পড়ে।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় পেয়েছি। তার গলায় একটি দাগ রয়েছে। সে আত্মহত্যা করেছে. না কি এটা হত্যা, সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। সিআইডির লোকজনও এখানে এসেছে।’