বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উদ্ধার করা টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২১ ২২:০৪

এসপির কাছে করা লিখিত অভিযোগে মেয়েটি জানান, বাবার চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার সময় ৩ মার্চ দুপুরে তাকে ফোন দেন এসআই জিয়া। তার দাপ্তরিক কক্ষে ওই ছাত্রীকে মাদক কারবারির অপবাদ দেন। উদ্ধার করা টাকা ফেরত চেয়ে মেয়েটিকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানোর ভয় দেখান ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন।

কলেজছাত্রীর টাকা উদ্ধার করে দিয়ে পরে সেই টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত এসআইয়ের নাম জিয়া উদ্দিন জিয়াদ। তার বিরুদ্ধে গত ৮ মার্চ কক্সবাজারে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, চলতি মাসের ১ মার্চ চকরিয়া থানা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তার বাবা। তার চিকিৎসার জন্য ছাত্রীর মায়ের বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠান স্বজনেরা। চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনতে ওইদিন বিকেলে চকরিয়ার একটি বিকাশ এজেন্টের দোকানে যান তিনি। তোলেন প্রায় ছয় হাজার টাকা। এ সময় দোকানদার মেয়েটির কাছে গোপন পিন নাম্বার জানতে চায়। সরল বিশ্বাসে দোকানদারকে নাম্বারটি জানান তিনি।

ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, টাকা তোলার কিছুক্ষণ পরই তার বোনজামাই ওই নাম্বারে আরও সাড়ে ২৩ হাজার টাকা পাঠান। ঘণ্টা দেড়েক পরে তিনি আবার টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। এই ঘটনার পর বিকাশ দোকানদারের কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে তাকে হুমকিধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় ২ মার্চ চকরিয়া থানায় অভিযোগ করেন ওই কলেজ ছাত্রী। পরে চকরিয়া থানায় এসআই জিয়া উদ্দিন জিয়াদ দোকানে গিয়ে তাকে প্রায় ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করে দেন।

এসপির কাছে করা লিখিত অভিযোগে মেয়েটি জানান, বাবার চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার সময় ৩ মার্চ দুপুরে তাকে ফোন দেন এসআই জিয়া। কথা আছে বলে ওই ছাত্রীকে চকরিয়া থানায় ডেকে নেন তিনি। থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় এসআই জিয়া তার দাপ্তরিক কক্ষে ওই ছাত্রীকে মাদক কারবারির অপবাদ দেন। এ সময় তিনি উদ্ধার করা টাকা ফেরত চেয়ে তাকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানোর ভয় দেখান ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন।

ছাত্রী জানান, বিষয়টি তার মাকে জানালে তিনি স্বর্ণের গয়না বিক্রি ও ধারদেনা করে এসআইকে ২১ হাজার টাকা দেন। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই জিয়া উদ্দিন জিয়াদ বলেন, ‘ওই ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই।’

তিনি বলেন, ‘দোকানদারের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করেছি। তবে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে জানতে পারি, ওই মেয়ের পিন কোড আসলে দোকানদার নেয়নি। পরে তাকে থানায় ডেকে টাকাগুলো দোকানদারকে ফেরত দেয়া হয়।’

কলেজছাত্রীকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজের বিষয়টি অস্বীকার করেন এসআই।

চকরিয়ায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মো. জুবায়ের বলেন, ‘আমার জানা মতে ঘটনাটি সত্য নয়। কলেজছাত্রী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এ ধরনের একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। তদন্ত করা হচ্ছে।’

এর আগে কক্সবাজার শহরে এক নারীকে পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় বরখাস্ত হয়েছেন সদর মডেল থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তা। ওই নারীর মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর