৫০০ ব্যক্তিকে চাকরি দেয়ার কথা বলে চার কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় তরিকুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের ডিবি কার্যালয়ে শনিবার বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার তরিকুলের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দামগাড়া বারহাট্টা গ্রামে।
এ সময় নগর ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান উপিস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, ২০২০ সালে মুক্তাপানি ও টিএমএফ (তরিকুল, মোতালেব, ফিরোজ) ট্রেডার্স লিমিটেড নামের কোম্পানির ভুয়া এজেন্ট নিয়োগের জন্য রংপুর বিভাগের সাতটি জেলা ও উপজেলায় অফিস চালু করেন তরিকুল। তিনি কোম্পানির এজেন্ট নিয়োগ দেয়ার নামে ২০২০ সালের অক্টোবরে একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেন।
ওই বিজ্ঞপ্তি দেখে ৬ শতাধিক ব্যক্তি মুক্তা কোম্পানির এজেন্ট ও কর্মী হওয়ার জন্য আবেদন করেন। এদের মধ্যে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির আবেদন গ্রহণ করে পর্যায়ক্রমে তাদের সাক্ষাতের জন্য ডাকা হয়। এরপর প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নেয় তরিকুল চক্র। এভাবে চার কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
পরে মুক্তাপানির এজেন্টদের পণ্য সরবরাহ না করে তরিকুল ও তার সহযোগীরা রংপুর থেকে ঢাকা পালিয়ে যান।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তরিকুলের নামে ভুক্তভোগী ১৯ জন প্রতারণার অভিযোগে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় পৃথক মামলা করেন।
পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম পরবর্তী সময়ে ডিবির কাছে মামলাটির তদন্তের ভার হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
গত শুক্রবার সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল শিবগঞ্জের কালিতলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তরিকুলকে গ্রেপ্তার করে।
ডিবি কর্মকর্তা মিনান আরও জানান, তরিকুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।