বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাড়ছে ‘মহাবিপন্ন’ বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২১ ১৮:৩৫

‘মহাবিপন্ন’ বাটাগুর বাসকা প্রজাতির একটি কচ্ছপ শনিবার ২৩টি ডিম দিয়েছে। ইনকিউবেটরে রাখা ডিমগুলো থেকে আগামী ৬৫-৬৭ দিন পর বাচ্চা বের হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের অসচেতনতায় যেখানে বিলুপ্তির পথে অনেক প্রাণী, ঠিক সে সময়ে সুখবর এলো সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্র থেকে।

‘মহাবিপন্ন’ বাটাগুর বাসকা প্রজাতির একটি কচ্ছপ শনিবার প্রজননকেন্দ্রের একটি পুকুরে ২৩টি ডিম দিয়েছে। ইনকিউবেটরে রাখা ডিমগুলো থেকে ৬৫-৬৭ দিন পর বাচ্চা বের হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চলতি বছরেই এর আগে তিনবার তিনটি কচ্ছপ তিন দফায় ৬৩টি ডিম দেয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২৭টি, ৩ মার্চ ২৩টি এবং ৫ মার্চ ২৩টি ডিম দেয় বিরল তিনটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ।

এ বছর আরও দুটি কচ্ছপের ডিম দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবনের করমজল কৃত্রিম প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির।

‘বর্তমানে আমাদের এখানে ৩ শতাধিক কচ্ছপ আছে। কচ্ছপগুলো খুব যত্নসহ লালনপালন করি। শনিবার সকালে একটি কচ্ছপ ২৩টি ডিম দিয়েছে। সেই ডিমগুলো বাচ্চা ফোটানোর জন্য ইনকিউবেটরে রেখেছি। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে।’

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ জানায়, ২০১৭ সালে দুটি কচ্ছপের ৬৩টি ডিম থেকে ৫৭টি বাচ্চা হয়। ২০১৮ সালে দুটি কচ্ছপের ৪৬ ডিম থেকে ২১টি বাচ্চা পাওয়া যায়।

২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চা হয় এবং ২০২০ সালে একটি কচ্ছপের ৩৫টি ডিম থেকে ৩৪টি বাচ্চা হয়।

এসব বাচ্চা থেকে ২০১৭ সালে দুটি, ২০১৮ সালে পাঁচটি, ২০১৯ সালে পাঁচটি কচ্ছপ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অবমুক্ত করে বন বিভাগ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের মধ্যে আরও ১০টি কচ্ছপ সুন্দরবনে অবমুক্ত করার কথা জানিয়েছে বন বিভাগ।

বাংলাদেশসহ ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও মালয়েশিয়ার কিছু অংশে দেখা মেলে বাটাগুর বাসকার প্রজাতির কচ্ছপের। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইউসিএন) ২০০৩ সালে প্রজাতিটিকে 'মহাবিপন্ন' ঘোষণা করে

২০০৮ সালে বাংলাদেশের গবেষকেরা নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে আটটি বাটাগুর বাসকার সন্ধান পান। এর মধ্যে চারটি পুরুষ ও চারটি স্ত্রী। প্রজননের জন্য এগুলো নিয়ে যাওয়া হয় গাজীপুরে।

কয়েক বছরে গাজীপুরে ডিম ফুটে ৯৪টি বাচ্চা হয়। ২০১৪ সালে আটটি বাটাগুর বাসকা ও তাদের ৯৪টি ছানাকে করমজল কৃত্রিম প্রজননকেন্দ্রে আনা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর