বরিশালে টেইলারিং ব্র্যান্ড টপ টেন শোরুমে হামলা ও লুটপাটের ঘটনার ১৪ দিন পর আবারও চালু হয়েছে শোরুমটি। উদ্বোধনের ১২ দিন পর শোরুমটিতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল।
সে সময় অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতাকে শোরুমটি উদ্বোধনে দাওয়াত না দেয়ায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিল।
সদর রোডের সৈয়দ ঈমান আলী টাওয়ারে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শোরুমটির উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হোসেন তাকে প্রধান অতিথি করার কথা জানিয়েছেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন টপ টেনের সিইও শফিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু, রফিকুল ইসলাম খোকন, বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সেরনিয়াবাত সুমনসহ অনেকে।
টপ টেনের শোরুমে হামলার ছবি।
টপ টেন শোরুম চালুর ১২ দিন পরই সেখানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে পরে তা চিহ্নিত করা হয়।
৭ মার্চ সন্ধ্যায় ৫০ থেকে ৬০ জন কিশোর-যুবক দলবেঁধে ওই শোরুমে ঢুকে মালামাল লুট করে বলে দাবি করেন শাখা ব্যবস্থাপক মো. মিরাজ। এ সময় প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১০ কর্মচারীকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পাঁচজনকে পুলিশে দেন শোরুমটির কর্মচারীরা। ৮ মার্চ ২১ জনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২৫-৩০ জনকে আসামি করে ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুটের মামলা করে কর্তৃপক্ষ।
পরে ৯ মার্চ ১৪ জন আসামি বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
এসব আসামির মধ্যে এক ছাত্রলীগ নেতা সোহানের নামে মামলা হলে আত্মসমর্পণ করেন তাদের দোকানের কর্মচারী নকল ‘সোহান’। বিষয়টি নিউজবাংলার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। সে দিনই ১৪ আসামির মধ্যে পাঁচজনকে রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয় আদালত।
বর্তমানে মামলায় এজাহারভুক্ত ১৯ আসামি কারাগারে আছেন।