সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু-অধ্যুষিত গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেলার দিরাই ও শাল্লার বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক।
এ নিয়ে দুইটি মামলায় মোট ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে একটি মামলার প্রধান আসামি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে (স্বাধীন মেম্বার) গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তাকে গ্রেপ্তারের কথা নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মো. খালেদ উজ জামান। তিনি বলেন, ‘শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে সিলেটে আনা হচ্ছে।’
গত সোমবার শাল্লার পাশের দিরাইয়ে সমাবেশ করে হেফাজত। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা মামুনুল ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। পরদিনই নোয়াগাঁও গ্রামে মামুনুলের বিরুদ্ধে দেয়া এক তরুণের স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার রাত থেকেই উত্তেজনা আঁচ করতে পেরে নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা ফেসবুকে পোস্ট দেয়া তরুণকে রাতেই পুলিশের হাতে তুলে দেন।
তা সত্ত্বেও এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে এলাকায় বিক্ষোভের ঘোষণা দেয় হেফাজত। কয়েক হাজার মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাঙচুর করে শাল্লার ৮৭টি হিন্দু বাড়ি।
বৃহস্পতিবার রাতে করা হয় দুইটি মামলা। হবিবপুর ইউপির চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল প্রথম মামলাটি করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় দিরাইয়ের তাড়ল ইউনিয়নের সদস্য স্বাধীন মিয়াকে। এ মামলায় ৮০ জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের করা মামলায় দেড় হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়, যাদের সবাইকে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে দেখানো হয়েছে।
ওই রাতেই দিরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় ২২ জনকে। এর মধ্যে দুইজনকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুলিশের করা মামলায়।