বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নে আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী শিপন ও ইউসুফ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি নামক এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সুখরঞ্জন নামের একজনের অবস্থা গুরুতর, তাকে হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।বাকিরা বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল ও বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে উপস্থিত থাকার জন্য শুক্রবার দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসু শরীফ নৌপথে নিজ ইউনিয়ন সরিষামুড়ি আসেন। তাকে স্বাগত জানাতে তার সমর্থকরা কালিকাবাড়ি লঞ্চঘাট এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন।
দুপুরের দিকে ওই ইউনিয়নের নৌকা মনোনীত প্রার্থী ইমাম হাসান শিপনের ভাই টিটুর নেতৃত্বে একদল লোক অতর্কিতে ইউসুফের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। ইউসুফ সমর্থকরাও প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ১০জন আহত হন।
ইউসুফ শরীফের ছেলে আজীম শরীফ জানান, বাবাকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল থেকেই আমরা লঞ্চঘাটে উপস্থিত ছিলাম। শিপনের ভাই টিটুর নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
হামলা প্রসঙ্গে ইমাম হাসান শিপন বলেন, ‘ইউসুফ ও তার ছেলেরা এলাকার কুখ্যাত ডাকাত। গত বছরের নভেম্বর মাসে ইউসুফ ও তার ছেলেরা আমায় নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। আমি বেঁচে আছি কিন্তু পঙ্গুপ্রায়। নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা ইউসুফ গংদের এলাকায় প্রবেশে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। এলাকার চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সাধারণ মানুষের সাথে আছি।’এলাকায় প্রবেশে হামলার শিকার হওয়ার শঙ্কায় বৃহষ্পতিবার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ শরীফ। একজন নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেটকে ওই ইউনিয়নের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত করেছিল বরগুনা জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া বেতাগী থানা পুলিশের একটি টহল দলও মোতায়েন ছিল।
বেতাগী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সংঘর্ষের খবরে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এর বাইরেও ওই ইউনিয়নে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সংঘর্ষেন ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।গত ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার সময় সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কালিকাবাড়িতেই হামলার শিকার হন বর্তমান চেয়ারম্যান ,জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন ।
এ ঘটনায় ইউসুফ ও তার দুই ছেলেসহ ১৪ জনকে আসামি করে বেতাগী থানায় মামলা দায়ের হয়। ওইদিনের পর থেকে লাপাত্তা ছিলেন ইউসুফ ও তার পরিবার । বুধবার হাইকোর্ট থেকে মামলায় জামিন পান ইউসুফ এবং শুক্রবার এলাকার আসেন ।