চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় দাদির টাকা চুরিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ ৯ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলায় গড়গড়ি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে৷ আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন গড়গড়ি গ্রামের বাক্কার আলীর স্ত্রী রোকেয়া খাতুন, তার দুই ছেলে বাবুল হোসেন ও মোমিন আলী, বাবুলের স্ত্রী পিংকি খাতুন, তার দুই মেয়ে জান্নাতুল খাতুন, নুজাইফা খাতুন ও ছেলে ১৮ মাস বয়সী মাহফুজ, মৃত দবির আলীর স্ত্রী আসমা খাতুন ও তার ছেলে অমিত হাসান।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাক্কার আলীর স্ত্রী রোকেয়া খাতুনের ঘর থেকে পাঁচ হাজার টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় তার নাতনি জান্নাতুলকে দোষারোপ করা হয়। বিকেলে বিষয়টি নিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাবুলের স্ত্রী পিংকি শ্বাশুড়ি রোকেয়া খাতুনকে কাঠ দিয়ে মারধর করেন।
পরে বাবুল হোসেন তার ভাই মোমিন আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন। তার ভাতিজা অমিত হাসানও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তাদের ঠেকাতে এলে আহত হন পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
এতে উভয়পক্ষের নারী ও শিশুসহ ৯ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন প্রতিবেশীরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন জানান, আহতদের শরীরে কোপে জখম হলেও তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, ওই ঘটনায় কোন পক্ষই এখনও পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।