ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে অ্যাসিডে ঝলসে দিয়েছেন আনন্দ পাল নামে এক ব্যক্তি।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা গ্রামে এ ঘটনা ঘটানোর পর পরই পালিয়ে যান আনন্দ।
আনন্দ পালের স্ত্রী ৩০ বছর বয়সী চন্দনা পাল ও তার মা পুতুল রানী পালকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে পুতুল রানী পালের বড় মেয়ের স্বামী অজিত পাল বলেন, ১০ বছর আগে চন্দনা পালের সঙ্গে ঢাকার তাতী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিতাই পালের ছেলে আনন্দ পালের বিয়ে হয়। তাদের ৯ বছর বয়সী একটি ছেলে আছে।
তিনি বলেন, ‘আনন্দ পাল জুয়াড়ি। করোনাকালে আনন্দ পাল জুয়া খেলে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হলে চন্দনা ঢাকা থেকে ভাটামাথা গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। শুক্রবার সকালে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আনন্দ শ্বশুরবাড়িতে যান। ঋণ শোধ করা নিয়ে আবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যায়। চন্দনাকে মারধর করেন আনন্দ। এক পর্যায়ে ব্যাগ থেকে অ্যাসিড বের করে চন্দনার গায়ে ঢেলে দেন। এ সময় চন্দনার চিৎকার শুনে তার মা পুতুল পাল ঘরে এলে তার ওপরও অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যান আনন্দ।’
পুতুল পালের বড় মেয়ে তাপসী পাল বলেন, আমার মা এবং ছোট বোনের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাজমুল হক বলেন, তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ অ্যাসিডে দগ্ধ হয়েছে, তবে তারা শঙ্কামুক্ত।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ভাটামাথা গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও থানায় মামলা হয়নি।