বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মৃতের সমালোচনা করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তরুণ গ্রেপ্তার

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২১ ১৭:১৪

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, মিজানুর রহমান শিকদারের বাবা গিয়াসউদ্দীন শিকদার মারা যাওয়ার পর তার নামে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর বক্তব্য লিখে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেন যুবক আল-আমিন। আল-আমিনকে কাজটিতে উৎসাহ দেন আবু জামান। বিষয়টি নজরে আসলে মিজানুর দুইজনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় মামলা করেন।

মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য লিখে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কিশোরগঞ্জে আল-আমিন নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে বিলপাড় গজারিয়া গ্রামের পাশের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কটিয়াদী বিদ্যানিকেতনের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান শিকদার কটিয়াদী থানায় গত বছরের ২০ অক্টোবর মামলাটি করেন।

মামলায় আসামি করা হয় বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গজারিয়া গ্রামের ২৫ বছর বয়সী আল-আমিন ও একই ওয়ার্ডের গজারিয়া গ্রামের ৫০ বছরের আবু জামানকে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, মিজানুর রহমান শিকদারের বাবা গিয়াসউদ্দীন শিকদার মারা যাওয়ার পর তার নামে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর মন্তব্য লিখে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেন আল-আমিন। আল-আমিনকে কাজটিতে উৎসাহ দেন আবু জামান। বিষয়টি নজরে এলে মিজানুর দুইজনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় মামলা করেন।

মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, তার বাবা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন। তিনি শিকদার মডেল একাডেমি নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও স্থাপন করেন। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই আসামি তার নামে বিভিন্ন মানহানিকর বক্তব্য দিতে থাকেন। এরপরই মামলাটি করেন তিনি।

গ্রেপ্তার আল-আমিনের বাবা আলাউদ্দীন নিউজবাংলাকে জানান, তার ছেলে সহজ-সরল ও বোকা ধরনের। অন্য মানুষজন যা বলে তাই শোনে।

তিনি বলেন, ‘আল-আমিন ফেসবুকে কী সব লিখেছে বলে শুনেছি। সে ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করলে জানায়, সে চুল কাটার সময় অন্য একজনের কাছে মোবাইল ছিল। সেই নাকি তা করেছে। পরে শুনি তার নামে মামলা হয়েছে।’

আল-আমিন ডিগ্রি পাস হলেও মানসিকভাবে পরিপক্ব নন এবং মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বলে জানান পিরিজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বুলু মিয়া।

কটিয়াদী থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহাম্মেদ বলেন, ‘এই যুবককে গ্রেপ্তার করার পরে তার ছেলেমানুষী আচরণে আমরা অবাক হয়েছি।’

মামলার অন্য আসামি আবু জামান নিউজবাংলাকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই মিজানুর রহমান তার নামে মামলা করেছেন।

যে মেসেজগুলো ছড়ানো হয়েছে তার সঙ্গে নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং আল-আমিনকে কোনো দিন তিনি দেখেননি বলে দাবি করেন আবু জামান।

কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহাদাত হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, আল-আমিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেসেজগুলো বিভিন্ন মানুষের কাছে পাঠানোর কথা স্বীকার করেছেন। তিনি যে কথাগুলো লিখেছেন তা আবু জামানের কাছ থেকে শুনেই লিখেছেন ও প্রচার করেছেন বলে জানান।

এ বিভাগের আরো খবর