নতুন রেকর্ড গড়তে ১০ কিলোমিটার সড়কে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা আঁকার কাজ শেষ করল গাইবান্ধার পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে আলপনা অঙ্কনের কাজ শেষ হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা-বাদিয়াখালি-ফুলছড়ি সড়কের পুলিশ লাইন্সের সামনে থেকে আলপনা আঁকার কাজ শুরু করে গাইবান্ধার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২২ ঘণ্টায় এই আলপনা আঁকা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে এই আয়োজন করেছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত গাইবান্ধা জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধা (পুসাগ)।
‘দেখাবে গাইবান্ধা, দেখবে দেশ; রেকর্ড করবে বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে আলপনা অঙ্কন উৎসবে অংশ নেয় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।
পুসাগ এর সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ জিম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আলপনা আঁকা শুরু হয়ে শুক্রবার দুপুর ১২টায় শেষ হয়েছে। ১০ কিলোমিটার পথজুড়ে আলপনা আঁকতে সময় লেগেছে ২২ ঘণ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি বগুড়ার শেরপুরে ১০০ বিঘা জমিতে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছে। তা থেকে আমরা প্রেরণা পেয়েছি। দীর্ঘতম আলপনা এঁকে আমরাও গিনেস বুকে নাম লেখাতে চাই।’
তিনি জানান, গিনেস বুকে নাম লেখাতে হলে সেখানে আবেদন করতে হয়। ইতিমধ্যে আবেদনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
পুসাগ এর সহ-সাধারণ সম্পাদক গালিব আল হক জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন এই আলপনা অঙ্কনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ২৫ জনের বেশি কমার্শিয়াল আর্টিস্ট আলপনা আঁকায় অংশ নেন। তারা আলপনা আঁকার পাশাপাশি বাকিদের দিকনির্দেশনা দেন।
জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার নয়ন মনি অ্যাডের স্বত্ত্বাধিকারী আর্টিস্ট আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আলপনা উৎসবে আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছি। ভাল লাগছে এখানে অংশ নিতে পেরে।’
সড়কজুড়ে দীর্ঘতম আলপনা আঁকার এমন উদ্যোগ দেশে এই প্রথম। এই আলপনা অঙ্কন বিশ্বে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে বলে আশা আয়োজকদের।