ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ৮ বছরের শিশু কাশফিয়া শেফা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাহিদ হোসাইনের তৃতীয় আদালতে জবানবন্দি দেন হোসেন মিয়া ও রিমি আক্তার।
শিশু কাশফিয়া সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের আসবাব ব্যবসায়ী আব্দুল কাদেরের মেয়ে।
বুধবার সকালে সৈয়দটুলা গ্রামের নোয়াহাটি এলাকার একটি ঝোপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে নিখোঁজ হয় সে।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে হোসেন মিয়া ও রিমি আক্তার জানান, শিশুটির কানে থাকা স্বর্ণের দুল নেয়ার জন্যই তাকে ডেকে নেয়া হয়। দুল নেয়ার সময় সে চিৎকার করলে প্রথমে গলা চেপে ও পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ঝোপে লাশ ফেলে দেয়া হয়।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রিমি আক্তার, হোসেন মিয়া, জামিল ও সুশীল দত্ত নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, শিশুটির সঙ্গে রিমির ভালো সম্পর্ক থাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতেই শিশুটির লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি আটক করা হয় হোসেন ও জামালকে। পরে কাশফিয়ার কানের দুল কেনায় আটক করা হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুশীল দত্তকে।
আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শিশুটির কাছে থাকা কানের দুল ছিনিয়ে নিতে হোসেন মিয়ার সঙ্গে কথা বলেন রিমি।
পরে শিশুটিকে ঘোড়ার খেলা দেখানোর কথা বলে হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। হোসেন ঘরে ঢোকার পর শিশুটির কাছ থেকে কানের দুল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এতে শিশুটি চিৎকার শুরু করলে প্রথমে তাকে গলা চিপে ও পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়।
পরে রিমি কানের দুল নিয়ে সুশীল দত্তের দোকানে নিয়ে চার হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
রিমি ও হোসেন মিয়াসহ চার আসামিকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামিল ও সুশীল দত্তকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হবে বলেও জানান পরিদর্শক কবির হোসেন।