বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাফনের কাপড় পরে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন

  •    
  • ১৮ মার্চ, ২০২১ ২২:২২

গত ৩০ জানুযারি কোটালীপাড়াসহ গোপালগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে কোটালীপাড়ার হেমায়েত বাহিনীর প্রধানসহ ৩৬২ জন মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ২৬ জনকে ‘গ’ তালিকাভুক্ত ও ১১৮ জনকে ‘খ’ তালিকাভুক্ত করা হয়।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ও চূড়ান্ত তালিকা থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কাফনের কাপর পরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার টুপুরিয়া এলাকার হেমায়েত বাহিনী স্মৃতি জাদুঘরের সামনের সড়কে যাচাই-বাছাইয়ের নামঞ্জুর ও দ্বিধাবিভক্ত তালিকায় থাকা মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দের ব্যানারে মানববন্ধন করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

মানববন্ধনে পুনরায় যাচাই-বাছাই ও মুক্তিযোদ্ধাদের টাকা ফেরত দেয়ার দাবি জানানো হয়। দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়।

পরে হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীরবিক্রমের ভাই সাবেক কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সামচুল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল আজিজ, আব্দুল মান্নান, মোখলেস মোল্লা, সিরাজুল ইসলামসহ অনেকে।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘যেহেতু এই যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে, তাই এটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি টাকা দেয়ার পরেও আমার নামটি দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্তের তালিকায় রাখা হয়েছে। আমি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। আমি ভারত থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত। আমার মতো অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্তের তালিকায় রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যসচিব এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মাহফুজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, নামঞ্জুর এবং দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্তের তালিকায় নাম থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধারা আগামী ১ এপ্রিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) আপিল করতে পারবেন।

গত ৩০ জানুযারি কোটালীপাড়াসহ গোপালগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে কোটালীপাড়ার হেমায়েত বাহিনীর প্রধানসহ ৩৬২ জন মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ২৬ জনকে ‘গ’ তালিকাভুক্ত ও ১১৮ জনকে ‘খ’ তালিকাভুক্ত করা হয়।

চার সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির সভাপতি ছিলেন জামুকার প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফর রহমান, সদস্যসচিব হিসেবে ছিলেন ইউএনও এস এম মাহফুজুর রহমান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক সরদার ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়াবুর রহমান সরদার।

এ বিভাগের আরো খবর