গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তার ওই নারীর নাম শিলা আক্তার। তিনি কিশোরগঞ্জের নিকলি থানার ছাতিরচর এলাকার জুনায়েদ মিয়ার স্ত্রী।
মামলায় বলা হয়, গাজীপুরের সিনাবহ উন্দারটেক এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস কিশোরগঞ্জের নিকলি থানার ফজল মিয়ার। তার সঙ্গে প্রতিবেশী জুনায়েদ মিয়ার বিরোধ বাড়ির সীমানা নিয়ে।
এর জেরে ১২ মার্চ ফজলের স্ত্রী আয়েশার সঙ্গে জুনায়েদের স্ত্রী শিলার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে শিলার ইন্ধনে আয়েশাকে তুলে নিয়ে যান জুনায়েদসহ কয়েকজন। পরে আয়েশাকে আম গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন তারা।
নির্যাতনের সময় আয়েশার মেয়ে নূপুর আক্তার এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এ সময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী সহায়তার হাত বাড়ান। আয়েশাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তিনি কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ করেন।
পরদিন বিকেলে স্থানীয় মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মান্নান সিকদার ও সিরাজ উদ্দিনসহ কয়েকজন মাতব্বর বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে জুনায়েদকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি আয়েশা।
ওই গৃহবধূ আয়েশা বেগম বৃহস্পতিবার বিকেলে কালিয়াকৈর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। এর পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুনায়েদ মিয়ার স্ত্রী শিলা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে।
গৃহবধূ আয়েশা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জুনায়েদ, নাসির উদ্দিন, আজিজ, সালেহা ও তাদের লোকজন আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেছে।’
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, আয়েশা বেগম মামলা করার পর আসামি শিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
বুধবার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়। শওকত ওসমান নামে এক ব্যক্তি সুদের টাকা শোধ করতে না পারায় ওই গৃহবধূকে মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ শওকত ওসমানের বাবা জহির আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। ওই নারীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটলেও বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হলে টনক নড়ে প্রশাসনের।