বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাল্লার তাণ্ডবে সিলেটে বিক্ষোভ: মামুনুলের গ্রেপ্তার দাবি

  •    
  • ১৮ মার্চ, ২০২১ ২০:১৫

সমাবেশে আবদুল করিম কিম বলেন, ‘শাল্লায় হামলার আগের দিন দিরাইয়ে হেফাজতের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মামুনুল হক। তার উসকানিমূলক বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়েই পরদিন শাল্লায় হিন্দুদের বাড়ি ঘরে হামলা চালানো হয়। তাই এই হামলার ঘটনায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে।

শাল্লার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এমন দাবি জানানো হয়।সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে নাগরিক মোর্চা ’দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’।

বিকেলে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নগরের জিন্দাবাজার পয়েন্ট ঘুরে আবার শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’র সংগঠক আবদুল করিম কিম, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, সাংস্কৃতিক সংগঠক শামসুল বাছিত শেরো, ভূমি সন্তান বাংলাদেশের সভাপতি আশরাফুল কবির, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এম রশিদ আহমদ, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের সংগঠক রাজীব রাসেল, মার্কসবাদী পাঠক ফোরামের সংগঠক নিরঞ্জন সরকার অপুসহ আরও অনেকে।

সমাবেশে আবদুল করিম কিম বলেন, ‘শাল্লায় হামলার আগের দিন দিরাইয়ে হেফাজতের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মামুনুল হক। তার উসকানিমূলক বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়েই পরদিন শাল্লায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। তাই এই হামলার ঘটনায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’আশরাফুল কবির বলেন, ‘আগের দিন ঘোষণা দিয়েই শাল্লায় মিছিল করে হেফাজতে ইসলাম। পুলিশের উপস্থিতিতে সে মিছিল থেকেই হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।’তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন শাল্লায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই ঘটনার জন্য শাল্লার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।’রাজীব রাসেল বলেন, ‘মুজিববর্ষের শুরুর দিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়ার হুমকি দিয়ে আলোচনায় আসেন মামুনুল হক। এরপরও সরকার বিতর্কিত এ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার না করে উল্টো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমাবেশ করার সুযোগ করে দিচ্ছে।

‘এসব সমাবেশে সরকারদলীয় অনেক নেতাও অংশ নিচ্ছেন। সরকারের আশকারা পেয়ে মামুনুল হক ও হেফাজতে ইসলাম সারা দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিচ্ছে। মামনুল হকের উসকানিতেই শাল্লায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি মামুনুল হককে হামলার হুমকিদাতা হিসেবে আসামি করে মামলা দায়ের ও ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।কাসমির রেজা বলেন, ‘ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে এমন সংবাদের ওপর ভিত্তি করে বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।’

তিনি শাল্লার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারের তরফ থেকে সহযোগিতারও দাবি জানান।

ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুধবার সকালে শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা চালায় সহস্রাধিক লোক।

দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিছিল করে হিন্দু অধ্যুষিত এই গ্রামের সবগুলো বাড়িঘরই ভাঙচুর ও লুটপাট করে তারা। গ্রামের হিন্দুদের প্রায় ৮০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

এ সময় গ্রামের লোকজন পাশের হাওরে গিয়ে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর