সম্প্রতি বগুড়ার শেরপুরে ১০০ বিঘা জমিতে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছে। এবার ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে আলপনা এঁকে নতুন রেকর্ড গড়তে কাজ শুরু করেছে গাইবান্ধার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা-বাদিয়াখালী-ফুলছড়ি সড়কের পুলিশ লাইনসের সামনে থেকে আলপনা আঁকার কাজ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এই আলপনা আঁকা হবে সড়কটির ১০ কিলোমিটারজুড়ে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে এই আয়োজন করেছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত গাইবান্ধা জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধা (পুসাগ)।
‘দেখাবে গাইবান্ধা, দেখবে দেশ; রেকর্ড করবে বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে আলপনা অঙ্কন উৎসবে অংশ নিয়েছে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী লিমা আকতার বলেন, ‘এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ আলপনা উৎসব। এখানে আসতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা খুবই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।’
ববিতা দেব নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতেই আমাদের এই আয়োজন। আশা করি কাজটি আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারব। আমি এখানে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’
সংগঠনের সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ জিম জানান, দুপুর থেকে আলপনা আঁকা শুরু হয়েছে। এটি চলবে আগামীকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত। অর্থাৎ টানা ২৪ ঘণ্টা ধরে চলবে আলপনা আঁকার এই উৎসব।
পুসাগের সহসাধারণ সম্পাদক গালিব আল হক জানান, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ভাঙ্গামোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।
তিনি আরও জানান, পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ২৫ জনের বেশি কমার্শিয়াল আর্টিস্ট আলপনা আঁকায় অংশ নিয়েছেন। তারা আলপনা আঁকার পাশাপাশি বাকিদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার নয়ন মনি অ্যাডের স্বত্বাধিকারী আর্টিস্ট আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আলপনা উৎসবে আমরা স্বেচ্ছায় কাজ করছি। ভালো লাগছে এখানে অংশ নিতে পেরে।’
সড়কজুড়ে দীর্ঘতম আলপনা আঁকার এমন উদ্যোগ দেশে এই প্রথম। এই আলপনা বিশ্বে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে বলে দাবি আয়োজকদের।