পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে নৌকায় ভোট নেয়ার হুমকি দিয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়ার এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান।
উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিরঘোনা এলাকায় বুধবার রাতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সভায় এমন হুমকি দেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম।
তিনি বলেন, ‘নৌকা মার্কা ইভা হার (এটা কার)? শেখ হাসিনার সরকারর (সরকারের)। পুলিশ হার? সরকারর। পুলিশ হইল দে সরকারর গুন্ডাবাহিনী।
‘বাইজ্জাই বাইজ্জাই (পিটিয়ে পিটিয়ে) ভোট লইব (নেব) দে হনে (কে)? সরকারের গুন্ডাবাহিনী। জিতিলে হনে (কে) জিতিব, নৌকা জিতিব। আর হনকিয় রে (কাউকে) ভোট ল গত নদিয়ুম (দিতে দেবো না)।’
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান শাহ আলম। সভায় তিনি জানান, নৌকা প্রতীক তার। তিনি এই প্রতীক নিয়ে অন্য কোনো মার্কায় ভোট দিতে দেবেন না।
এ বিষয়ে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য সাধারণ মানুষের কাছে দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।’
উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি হামিদুল হক জানান, নৌকার মনোনয়ন কে পাবে তা নির্বাচনি বোর্ড ঠিক করবে। ওইদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন, যা দলের শিষ্টাচার বহির্ভূত।
এদিকে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর মোর্শেদ বিষয়টি সম্পর্কে এখনও অবগত নন বলে দাবি করেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। যদি পুলিশকে কটাক্ষ করে কিছু বলে তাহলে ঊর্ধ্বতনদের বিষয়টি জানাব। তারা যে নির্দেশ দেবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইরফান উদ্দিন জানান, যেহেতু এখনও তফসিল ঘোষণা হয়নি তাই তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে।
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের এক নেতার ‘ভোট আগে থাকতি কইরে ফেলতি হবে’ এমন বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়।
আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন কর্মিসভায় বলেন, ‘আমরা এখানে পরিশ্রম করছি কিসির জন্যি? ভোটের জন্যি। এই ভোটগুলো কীভাবে বাড়ির কাছে আটকে দেব? গলির মদ্যি জামাত-বিএনপি।
‘টুক করে ভোটের আগের রাত্রি গলির মদ্যি বুলে আসতি হবে…তুই বাড়ির মদ্যিতি নড়বিনে। নড়লি তোর খবর আছে…ভোট করার কায়দা আছে, অনেক কায়দা আছে। ভোট আগে থাকতি কইরে ফেলতি হবে। সেন্টারে যায়ে ভোট হবে না।’