বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হিন্দু গ্রামে হামলা, দায় এড়াচ্ছেন হেফাজতের মামুনুল

  •    
  • ১৮ মার্চ, ২০২১ ০২:২০

বুধবার রাতে ফেসবুক লাইভে মামুনুল বলেন, ‘কিছু লোক হিন্দুদের বাড়িতে আক্রমণ করেছে। এর দায়দায়িত্ব কোনো আলেম নেবে না এবং নেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সমর্থকরা হামলা চালালেও তিনি বলছেন, কিছু লোক আক্রমণ করেছে। এর দায়দায়িত্ব কোনো আলেমের নেয়ার প্রশ্নই আসে না।

বুধবার রাতে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভে এসে তিনি এ দাবি করেন।

মামুনুল বলেন, ‘কিছু লোক হিন্দুদের বাড়িতে আক্রমণ করেছে। এর দায়দায়িত্ব কোনো আলেম নেবে না এবং নেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের এক তরুণ মঙ্গলবার হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তাতে মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতার অভিযোগ আনা হয়।

এর আগের দিন ১৫ মার্চ শাল্লার পাশের দিরাইয়ে সমাবেশ করে হেফাজত। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা মামুনুল ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। পরদিনই নোয়াগাঁও গ্রামের ওই তরুণের স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার রাত থেকেই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে এলাকায় বিক্ষোভের ঘোষণা দেয় হেফাজত।

উত্তেজনা আঁচ করতে পেরে নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা ফেসবুকে পোস্ট দেয়া তরুণকে রাতেই পুলিশের হাতে তুলে দেন।

তবে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আর আতঙ্ক সত্ত্বেও ওই গ্রামের নিরাপত্তায় প্রশাসনের কোনো ‘উদ্যোগ’ ছিল না। ছিল না পুলিশের বাড়তি ‘নজরদারি’।

যে কারণে বুধবার সকালে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার সময় মামুনুল হকের অনুসারীদের কোনো রকম বাধার মুখেই পড়তে হয়নি। কয়েক হাজার মানুষ দা-লাঠিসহ মিছিল নিয়ে এসে ভাঙচুর করে ৮৭টি হিন্দুবাড়ি। এসব ঘর থেকে টাকাপয়সা-স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় তারা।

এই হামলার প্রসঙ্গ টেনে ফেসবুক লাইভে মামুনুল বলেন, ‘আমরা দেখেছি সেখানে কিছু মানুষ সেই সংখ্যালঘু কিছু পরিবারের বাড়িঘরের ওপর চড়াও হয়েছে। স্থানীয় আলেম সমাজ মানুষকে এই রকম উত্তেজনাপূর্ণ আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। তবে আলেম-ওলামাদের বিধিনিষেধকে উপেক্ষা করে কিছু মানুষ এই ধরনের কাজ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে সোচ্চার ও সচেতন থাকা চাই। দেশের মধ্যে যেন কোনো সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়। হিন্দু-মুসলিমের যে শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক সেটি বহাল রাখার জন্য সকল মহলের দায়িত্বশীল আচরণ প্রয়োজন।’

মামুনুল আরও বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তিবিশেষের নামে এ ধরনের আপত্তিকর অভিযোগ তারা দায়ের করে অথবা তার চরিত্র হরণ করে কটাক্ষ করে, সে ক্ষেত্রেও দেশের প্রচলিত আইনের সহায়তা নেয়ার জন্য কঠোর নির্দেশনা থাকবে। কোনোভাবে আইন হাতে তুলে নেবেন না।’

এ বিভাগের আরো খবর