বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলনায় দোয়ায় শামিল হলেন পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২১ ২২:৪৯

এ সময় জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে যুক্ত হয়ে খুলনা জেলার ১ হাজার ৮০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, ১ হাজার ২০০ মসজিদের ইমামসহ ৫ লক্ষাধিক মানুষ এই দোয়ায় অংশ নেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনে ভিন্নধর্মী আয়োজন করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন। জুম অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইনে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষকে দোয়া ও মোনাজাতে যুক্ত করা হয়।

এ ছাড়া খুলনা জেলার মসজিদ, মাদ্রাসা ও হেফজখানায় ১৯ হাজার ২০০ বার পবিত্র কোরআন শরিফ খতম দেয়া হয়।

বুধবার দিবসটি উদযাপনে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে ছিল মূল আয়োজন। সেখানে বিকেলে ৬ হাজার ৬৬৬ জন আলেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সমবেত হয়ে আসরের নামাজ আদায় করেন।

নামাজ শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহিদ হওয়া তার পরিবারের সদস্যদের এবং মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দেয়া ৩০ লাখ শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এ সময় জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে যুক্ত হয়ে খুলনা জেলার ১ হাজার ৮০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, ১ হাজার ২০০ মসজিদের ইমামসহ ৫ লক্ষাধিক মানুষ এই দোয়ায় অংশ নেন।

দোয়া অনুষ্ঠানে কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সৈয়দ রবিউল আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার এসএস শফিউল্লাহ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ প্রমুখ অংশ নেন। দোয়া পরিচালনা করেন খুলনা টাউন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আবু সালেহ।

এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙিন’।

সকালে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র প্রাঙ্গণে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খুলনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর কমান্ড, কেসিসির মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মহানগর, জেলা ও অঙ্গসংগঠনসমূহ, স্কুল-কলেজ, পেশাজীবী সংগঠনসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।

বিভিন্ন মসজিদে বাদ জোহর মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান এবং মন্দির, গির্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। হাসপাতাল, কারাগার, শিশু পরিবার ও এতিমখানায় বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে স্মরণিকা, গ্রন্থ, দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপ, সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জা, মুজিববর্ষ উদযাপনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন, সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। সন্ধ্যায় আতশবাজির আয়োজন করা হয়।

জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

খুলনা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবন চত্বরে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও শিশুদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

কেসিসির শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র মো. আলী আকবর টিপু, কাউন্সিলররা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালা উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা সোনালী ব্যাংক লিমিটেড স্যার ইকবাল রোড শাখায় কেক কেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করে। এ ছাড়া খুলনার বিভিন্ন ব্যাংক-বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আলোচনা সভা, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করে।

মুজগুন্নী শিশু বিকাশ কেন্দ্রে শিশু একাডেমির আয়োজনে আলোচনা সভা ও শেখ রাসেল শিশু পাঠাগারের উদ্বোধন করা হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খুলনা জেলা তথ্য অফিস বিভিন্ন স্থানে বড় আকারের এলইডি স্ক্রিনে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ওপর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করে।

জেলা ও উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পুস্তক ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। স্থানীয় পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। উপজেলা পর্যায়েও একই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর