শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের মামলায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
পাইন্দং এলাকার হজরত ইমাম-এ আজম আবু হানিফা গাউছিয়া সুন্নিয়া হেফজ ও এতিমখানার ওই শিক্ষককে বুধবার সকালে চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়।
শিক্ষার্থীর বাবার দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরকে উপজেলার পাইন্দং এলাকা থেকে আটক করে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ। শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগে ওইদিন রাত ৮টার দিকে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
শিশুটির বাবা আব্দুল হাকিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জানুয়ারির শুরুর দিকে ছেলেকে মাদ্রাসাটির হেফজ বিভাগে ভর্তি করাই। সোমবার ছেলেকে মাদ্রাসায় দেখতে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থা দেখে সন্দেহ হয়। পরে তার কাছে বিস্তারিত জানতে চাই। এ সময় ছেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে হেফজ বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের মারধরের কথা জানায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে মাদ্রাসায় পড়াশোনার জন্য দিয়েছি; মারধরের জন্য নয়। আমি ওই শিক্ষকের বিচার চাই।’
মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওসমান উদ্দিনের দাবি, সোমবার পরিচালনা পর্ষদ শিশুটির বাবার সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা করে। শিশুটির চিকিৎসা বাবদ শিক্ষক জাহাঙ্গীরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শিশুটির বাবা সেটা মেনেও নেন।
এর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমির এক শিশু শিক্ষার্থীকে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ইয়াহইয়া নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর ১০ মার্চ তাকে একাডেমি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১১ মার্চ সাতকানিয়া উপজেলার গারাংগিয়া রংগিপাড়া হেফজখানা ও এতিমখানায় চার শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের আরেকটি অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর বাবা ১৩ মার্চ সাতকানিয়া থানায় মামলা করলে শিক্ষক কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।