বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কয়েলের আগুনে তিনটি বাড়ি, গবাদিপশু পুড়ে ছাই

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২১ ২১:৫৩

ইউপি সদস্য বিমল কুমার জানান, প্রতিদিনের মতো গোয়ালঘরে মশা তাড়াতে কয়েল জ্বালানো হয়। কয়েলের আগুন গোয়ালঘরের মশারিতে লাগার পর তা ওপরে থাকা খড়িতে লাগে। এতে আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গোয়ালঘরের পাশের তিনটি বাড়ি পুড়ে একেবারে ছাই হয়ে যায়। আর দুটি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ১৪টি গরু, ১২টি ছাগল ও শতাধিক হাঁস-মুরগি মারা যায়

নওগাঁর মান্দায় কয়েলের আগুনে তিনটি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আরও দুটি বাড়ির আংশিক পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় কোনো মানুষ মারা না গেলেও ১৪টি গরু, ১২টি ছাগল, শতাধিক হাঁস-মুরগি মারা যায়। পুড়ে গেছে ধান-চাল, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আসবাবপত্র।

বুধবার ভোররাতে উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের গণেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুইটি ইউনিট সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

ফায়ার সার্ভিস ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিমল কুমারের গোয়ালঘরে গরু ও ছাগল উঠানোর পর মশা নিয়ন্ত্রণে কয়েল জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

বুধবার ভোরের দিকে গোয়ালঘরে আগুন লাগার বিষয়টি টের পাওয়া যায়। মুহূর্তে তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজনের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইউপি সদস্য বিমল কুমার জানান, কয়েলের আগুন গোয়ালঘরের মশারিতে লাগার পর তা ওপরে থাকা খড়িতে লাগে। এতে আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গোয়ালঘরের পাশের তিনটি বাড়ি পুড়ে একেবারে ছাই হয়ে যায়।

আগুনে ধীরেন্দ্রনাথ, পরিমল কুমার ও তপন প্রামাণিকের বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। বিমল কুমার ও অমল কুমারের বাড়ি আংশিক পুড়েছে।

মান্দা ফায়ার স্টেশনের সাব-অফিসার গোলাম সরোয়ার বলেন, কয়েলের আগুন থেকে এ আগুন লাগে। তাদের দুইটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল হালিম জানান, বুধবার সকালে তিনি, মান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোল্ল্যা এমদাদুল হক ও গণেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন মণ্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

যে তিনজনের বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে তাদের প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দ্রুত সহায়তা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর