ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার এক বাড়ির মাটি খোঁড়ার সময় ১৪৩টি মুদ্রাভর্তি একটি পাত্র পাওয়া গেছে, যেগুলোয় ১৮৮২, ১৮৮৭, ১৮৯০ ও ১৯০৭ সাল উল্লেখ আছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামে কেশব চন্দ্র বর্মণের বাড়িতে গত শনিবার পাওয়া যায় মুদ্রাভর্তি পাত্রটি। তিনি বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করলেও মঙ্গলবার বিকেলে জানাজানি হয়ে যায়।
ধীরেন চন্দ্র নামে স্থানীয় একজন জানান, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেশব শৌচাগারের রিং স্থাপনের জন্য শনিবার মাটি খোঁড়ার কাজ করাচ্ছিলেন মহেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ নামে এক শ্রমিককে দিয়ে। একপর্যায়ে মহেন্দ্র একটি পাত্রের অস্তিত্ব টের পান।
আরও কিছুটা খোঁড়ার পর পাওয়া যায় ধাতব পাত্রটি। সেটি খুলে তিনি ভেতরে মুদ্রা দেখতে পান। পরে মুদ্রা ভরা পাত্রটি তিনি কেশবের হাতে তুলে দেন। কেশব বিষয়টি গোপন রাখতে মহেন্দ্রকে অনুরোধ করেন।
মহেন্দ্র মঙ্গলবার গল্প করার সময় ঘটনাটি বলে দেন। এরপর তা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১১টার দিকে কেশবের বাড়ি থেকে পাত্রসহ মুদ্রাগুলো উদ্ধার করে।
ঠাকুরগাঁও সদর রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, ‘আমরা পাত্রটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। পাত্রটিতে ১৪৩টি ধাতব মুদ্রা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
‘কোনো কোনো মুদ্রার গায়ে ১৮৮২, ১৮৮৭, ১৮৯০, ১৯০৭ সাল উল্লেখ আছে। মুদ্রাগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হবে।’