চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় ‘স্বামীর দেয়া’ আগুনে দগ্ধ হওয়ার তিন দিন পর ঢাকায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাতেমা আক্তার নামের ওই নারী মারা যান। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিউজবাংলাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিশ্চিত করেছেন ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবদুল্লাহ।
ফাতেমা আক্তার ভুজপুর থানার বাগানবাজার ইউনয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে ইমন হোসেনের স্ত্রী এবং একই এলাকার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে।
ওসি শেখ আবদুল্লাহ জানান, ১৩ মার্চ রাত আড়াইটার দিকে ফাতেমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ইমনের। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ফাতেমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ইমন। এতে ফাতেমার শরীরের ৭৫ শতাংশ আগুনে ঝলসে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিকৎসার জন্য তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইন্সটিটিউটে পাঠানো হয়।
ওইদিন রাতেই ইমন ও তার বাবা আবুল কাশেমকে আটক করা হয়।
পরদিন ফাতেমার বাবা আব্দুল গফুর ভুজপুর থানায় মামলা করলে ইমন ও আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওসি শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, দগ্ধ ফাতেমা জানিয়েছিলেন, দুই মেয়ে জন্ম দেয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ফাতেমাকে অত্যাচার করতেন। তা ছাড়া ইমন মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন সময় মাদকসেবন করে ফাতেমাকে মারধরও করত।
ইমন ও আবুল কাশেমকে ১৪ মার্চ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাগানবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুস্তম আলী বলেন, ‘প্রায় ৮ বছর আগে ফাতেমা ও ইমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে কলহ লেগে ছিল। আমি নিজেই বেশ কয়েকবার তাদের শালিস করে দিয়েছি।’