রাজশাহীর তানোর উপজেলায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান আছড়ে পড়েছে।
উপজেলার লালপুর ও আড়াদীঘি গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে আলুর ক্ষেতে মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে বিমানটি আছড়ে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
বিমানে একজন পাইলট ও একজন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। তারা দুজনই সুস্থ আছেন।
সেসনা-১৫২ মডেলের এই বিমানটি বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবের।
রাজশাহীর হজরত শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালায়।
মঙ্গলবার দুপুরে এই বিমানবন্দর থেকেই বিমানটি ওড়ে। তানোরে গিয়ে সেটি আলুক্ষেতে আছড়ে পড়ে। বিমানটি সেখানে উপুড় হয়ে পড়ে আছে।
বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবের রাজশাহীর প্রশিক্ষক ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান বিমানে ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন ক্যাডেট নাহিদ এরশাদ।
ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা সুস্থ আছি। ঘটনাস্থলেই আছি। কীভাবে, কেন দুর্ঘটনা ঘটেছে সেসব বিষয়ে পরে কথা বলা যাবে।’
২০১৫ সালের ১ এপ্রিল রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দরে ফ্লাইং একাডেমির একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান তামান্না রহমান নামে এক প্রশিক্ষণার্থী পাইলট। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন সেসনা-১৫২ বিমানের প্রশিক্ষক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ কামাল।
চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি রাজশাহীর হজরত শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমির একটি প্রশিক্ষণ বিমান। ওই দিন বেলা তিনটার দিকে বিমানবন্দরের রানওয়েতে এই ঘটনা ঘটে। তবে কেউ আহত হননি।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সুপারভাইজার আবদুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমির একটি বিমান বেলা তিনটার দিকে প্রশিক্ষণের জন্য উড়াল দেয়। এতে পাইলট ছিলেন মশিউর রহমান আর প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন রায়হান গফুর। কিছুক্ষণ পর বিমানটি বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করে।
বিমানটির সামনের একটি ও পেছনের একটি চাকা খুলে যায়। এ সময় সেটি রানওয়েতে মুখ থুবড়ে পড়ে। এতে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার পরপরই রাজশাহী দমকল বিভাগের একটি ইউনিট বিমানবন্দরে পৌঁছায়। তবে তার আগেই বিমানবন্দরকর্মীরা উদ্ধার কাজ শেষ করেন।