দাড়ি থাকার কারণে আড়ং কর্তৃপক্ষ চাকরি দেয়নি, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
সোমবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও হাটহাজারী ওলামা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জীর সই করা এক বিবৃতিতে এ সময় দেয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৭ কোটি মুসলমানের এই দেশে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠান আড়ং মুসলিম যুবককে দাড়ি কামাতে বলে অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। এটার কোনো ক্ষমা নেই।’
‘যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আড়ং প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা না করে, তাহলে সারা দেশে তাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধের ডাক দেয়া হবে।’
বিবৃতিতে আড়ংয়ের পণ্য বর্জনেরও আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয়ে জাকারিয়া নোমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে আড়ং ইসলামবিরোধী কিছু শর্ত দিয়েছে বলে আমরা জেনেছি। প্রাথমিকভাবে আড়ং কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে হেফাজতের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে সোমবারই সিলেটে আড়ংয়ের শাখার সামনে ‘সিলেটের সচেতন আলেম সমাজ’-এর ব্যানারে এক বিক্ষোভে জানানো হয়, দাড়ি থাকায় এক যুবককে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় আড়ংয়ের শোরুমে চাকরি দেয়া হয়নি। বিক্ষোভের পর আড়ংয়ের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে একটি বিবৃতিও দেয়া হয়।
আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলমের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি আড়ং-এর একটি ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত একজন চাকরিপ্রার্থীর নেতিবাচক অভিজ্ঞতার ব্যাপারটি সত্যিই অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এটি নিঃসন্দেহে আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থি।
‘আড়ং কর্তৃপক্ষ বয়স, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, অক্ষমতা বা জাতিগত উৎস নির্বিশেষে সকলের জন্য মানবিক মর্যাদা এবং অন্তর্ভুক্তির অধিকারগুলোকে সমুন্নত রাখে। আমাদের নিয়োগের সিদ্ধান্তে ধর্মীয় বিশ্বাস ও পালনকে কখনোই বিবেচনা করা হয় না।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের ভবিষ্যতের ইন্টারভিউ বোর্ডগুলোর পরিচালনায় আমাদের মূল মূল্যবোধের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করব এবং ইন্টারভিউ বোর্ডে সংশ্লিষ্টদের শিষ্টাচারের বিষয়ে সংবেদনশীলতা আনতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’