দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে চায়ের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর আগ্রাবাদে অবস্থিত নিলাম কেন্দ্রে চলতি নিলাম বর্ষের সর্বশেষ নিলামের (৪২তম) আংশিক কার্যক্রম অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী বলেন, অনলাইনে চা নিলাম দেশের চা নিলাম ও চায়ের বিপণন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে। এতে কোভিড পরিস্থিতিতে চা বিপণনে ও ব্যবসায় নতুন গতির সঞ্চার হবে।
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিটিএবি) দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনলাইন চা নিলাম কার্যক্রম চালু করায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী বলেন, অনলাইনে চা নিলামের পরীক্ষামূলক যাত্রা দেশের চা শিল্পের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বিডাররা অনলাইনে ঘরে বসেই চা বিপণনে অংশ নিতে পারবেন। ফলে ক্রেতাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস, সময় ও অর্থের সাশ্রয়ের পাশাপাশি চা বিপণনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আরও দৃঢ় হবে। এ ছাড়া কোভিডসহ যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চা বিপণন স্বাভাবিক থাকবে।
২০১৬ সালে টিটিএবি অনলাইন চা নিলামের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করে। ২০২০ সালে করোনা মহামারিতে চা নিলাম কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বাংলাদেশ চা বোর্ড অনলাইন চা নিলাম দ্রুত শুরুর বিষয়ে টিটিএবিকে নির্দেশনা দেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে টিটিএবি, ব্রোকার, ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন ভেন্ডরদের সঙ্গে ধারাবাহিক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় অনলাইন চা নিলাম শুরু হলো।
প্রথমবারের অনলাইন নিলামে প্রায় ১২ হাজার কেজি চা বিক্রি হয়েছে। নিলামে ন্যাশনাল ব্রোকারের মাধ্যমে মির্জাপুর বাগানের চা প্রথম বিক্রি হয়। ইস্পাহানী টি লি. ৩১২ টাকা কেজিতে প্রথম লট কেনে। প্রায় ২৫ জন বিডার অনলাইন নিলামে অংশগ্রহণ করেন।
নিলাম অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে টিটিএবি চেয়ারম্যান শাহ মঈনুদ্দীন হাসান, চা বোর্ডের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, ব্রোকার প্রতিনিধি ও চা ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।