বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেল ইউজিসির তদন্ত দল

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২১ ২০:৫২

অনুসন্ধান শেষে তদন্ত দলের প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চান নি। তবে কিছু মিডিয়ায় হাবিপ্রবির অনিয়ম ও তদন্তে ইউজিসির প্রতিনিধি দল আসার সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ৩০টির বেশি অভিযোগ তদন্ত শেষ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি। তবে তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

হাবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনে তদন্ত শেষ করে সোমবার বিকেল ৩টায় ইউজিসির তদন্ত কমিটির সদস্যরা চলে যান। তারা সকাল সোয়া ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্তের জন্য আসেন।

অনুসন্ধান শেষে তদন্ত দলের প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চান নি। তবে কিছু মিডিয়ায় হাবিপ্রবির অনিয়ম ও তদন্তে ইউজিসির প্রতিনিধি দল আসার সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. আবু তাহের ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম শেখ।

ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম শেখ গত ৮ মার্চ চিঠি দিয়ে হাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষকে তদন্তের বিষয়টি জানান।

চিঠিতে পরীক্ষা ২০১৮ এর সহযোগী ও সদস্য সচিব খালেদ হোসেন, উদ্যানতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. তরিকুল ইসলাম, জেনেটিক্স এন্ড এনিম্যাল ব্রিডিংয়ের চেয়ারম্যান ড. আবদুল গাফফার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক, ইন্সটিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি)’র পরিচালক অধ্যাপক ড. তরিকুল ইসলাম, ড. বিধান চন্দ্র হালদার ও ড. শ্রীপতি শিকদার, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং প্ল্যানিং এন্ড উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম, ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার ডা. ফজলুল হক, কন্ট্রোলার অধ্যাপক মিজানুর রহমান, প্রকৌশল শাখার চাঁদ আলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সিভিল) আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী প্রকৌশলী এবং পরিবহন শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াহেদকেসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

গত ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাজ্জাদুল করিম নামে এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনকে এসব অভিযোগ করেন।

দুদককে দেয়া অভিযোগপত্রে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়ম, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম , আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি, শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারী টাকা আত্মসাৎ, প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের অনিয়ম ও দুর্নীতি, শিক্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা ও স্বাধীনতা বিরোধীদের পুর্নবাসন, নির্মাণ কাজে ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজসে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা, মিথ্যা কাজের বিল দাখিল, গাড়ীর মিথ্যা মেরামত দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, স্বজনপ্রীতিসহ ৩০টিরও অধিক অনিয়মের কথা বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিভাগের আরো খবর