কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে কৃষক তাজুল হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- কটিয়াদী উপজেলার কোদালিয়া এলাকার ছাইকুল ইসলাম ও গোলাপ মিয়া।
যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন একই এলাকার আবদুল হামিদ, আবদুর রহিম, মো. ছাইদু, মো. বাদল, মো. মোস্তফা, মো. মিজান, মো. সুলতান, মো. রায়হান, মো. হাবিব, মো. ফারুক, হেনা বেগম, জলে বেগম ও আনিছা বেগম।
রায় ঘোষণার সময় অন্য সব আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও মিজান ও সুলতান পলাতক রয়েছেন।
অপরদিকে আরেক আসামি সোহেল রানার বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তার মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বিচারাধীন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যজ্ঞেশ্বর রায় বলেন, ‘এ মামলায় বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।’
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অশোক সরকার বলেন, ‘এ রায়ে আসামিপক্ষের ন্যায়বিচার হয়নি। এ রায় আইনসম্মত হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে গেলে ন্যায়বিচার পাবেন বলে তার ধারণা।’
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের পয়লা জানুয়ারি কৃষক তাজুল ইসলামের বাবা ও তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে নোয়াগাও এলাকার সিদেলচুরি খালের উত্তরপাশে মরিচক্ষেত নিংড়ানোর কাজ করছিলেন।
এ সময় জমি নিয়ে বিরোধ ও মামলার জেরে আসামিরা তাদের চারদিক থেকে ঘিরে আক্রমণ চালান। আসামিরা প্রথমে মামলার সাক্ষী দুলালকে আক্রমণ করেন। এ সময় দুলালের চিৎকারে তাকে রক্ষা করতে তাজুল এগিয়ে গেলে তাকেও দেশীয় অস্ত্র (ছুরি, লোহার রড) দিয়ে আক্রমণ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাজুলের।
পরে ঘটনার দিনই রাতে তাজুলের মেয়ে মালা বেগম ১৬ জনের নামে ও পাঁচজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে ২০১১ সালে ১৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র জমা দেন।