জামালপুরের ইসলামপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একটি মসজিদের ইমামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে জেলার একটি আদালত। তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। টাকা না দিলে আরও তিন মাস কারাগারে থাকতে হবে।
ওই ইমামের বিরুদ্ধে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর এই আদেশ এসেছে।
সোমবার জামালপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এম আলী আহমেদ এই আদেশ দেন।
সাজা পাওয়া হাফেজ সাইফুল ইসলামের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে। ২২ বছর বয়সী এই আলেম মোহাম্মদপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর ইমাম সাইফুলকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আকরাম হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ইমাম সাইফুল যাকে ধর্ষণ করেছেন, তিনি সেই মেয়েটির দাদার বাড়িতেই থাকতেন। তিনি মোহাম্মদপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদে নামাজ পড়াতেন এবং সপ্তাহে ছয় দিন ভোরে মসজিদের বারান্দায় গ্রামের শিশুদের কায়দা পড়াতেন।
২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর ভোরে কায়দা পড়া শেষ করে বাড়ি ফিরে শিশুটি। সকাল ৮টার দিকে ঘর পরিষ্কার করার কথা বলে শিশুটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যান ইমাম সাইফুল। পরে নিজের শয়নকক্ষে ধর্ষণ করেন।
এই ঘটনায় ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামপুর থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা।
মামলায় ১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। হাফেজ সাইফুলও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।