নড়াইলে পারিবারিক বিরোধের জেরে গৃহবধূর মাথার চুল ও ভুরু কেটে দেয়ার অভিযোগে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নড়াইল সদর থানায় রোববার মামলাটি হয়। এর আগে পৌরসভা এলাকার স্বামীর বাড়ি থেকে শুক্রবার গভীর রাতে ওই নারীকে উদ্ধারের পর নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা জানান, অস্ট্রিয়াপ্রবাসী ওই ব্যক্তি দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে সাড়ে চার বছর আগে তাকে বিয়ে করেন। কিছুদিন পরই তিনি স্বামীর মাদকাসক্তি এবং প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের বিষয় জানতে পারেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেই নির্যাতন শুরু হয়।
তারা আরও অভিযোগ করেন, সাড়ে চার বছরের দাম্পত্যজীবনে তাদের দুটি সন্তান হলেও নির্যাতন থামেনি। স্বামী দেশে এলে প্রায়ই তাকে মারধর করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার গভীর রাতে মা-বাবার সহায়তায় স্ত্রীকে মারধর এবং জোর করে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান স্বামী। পরে তার মাথার চুল ও ভুরু কেটে দেয়া হয়।
গভীর রাতে জ্ঞান ফিরলে মোবাইল ফোনে তিনি বিষয়টি স্বজনদের জানান। পরে তারা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী জানান, তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে জোর করে অনেকগুলো ঘুমের বড়ি খাইয়ে দেয়া হয়। পরে তারা চুল ও ভুরু কেটে দেয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে তার স্বামী জানান, তার স্ত্রীর মাথার চুল কখন কাটা হয়েছে তিনি জানেন না। এসব তার স্ত্রীর বানানো কথা।
নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, গৃহবধূর স্বামীসহ তিনজনকে আসামি করে রোববার দুপুরে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।