কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গোপনে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবন বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রোববার কুমারখালী থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা হলেন কুমারখালী উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও ক্রেতা শানপুকুড়িয়ার বাচ্চু শেখ।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, শানপুকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ওই সেমিপাকা ভবনে ৪ হাজার ৫০০ ইট, ১১ বান টিন, ৩০টি সিমেন্টের খুঁটি ও কাঠের দরজা-জানালা ছিল। এ ভবনের আনুমানিক বিক্রয়মূল্য দেড় লাখ টাকা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়েই ভবনটি বাচ্চু শেখের কাছে ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ। বাচ্চু ৬ মার্চ রাতে ভবনটি ভেঙে বাড়ি নিয়ে যান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাচ্চু শেখ জানান, শিক্ষক হারুন অর রশিদের কাছ থেকে তিনি ভবনটি কেনেন। এ জন্য ১৩ হাজার ৯০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে তিনি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুনের কাছে পাঠান। বিষয়টি জানাজানি হলে বিকাশেই তিনি টাকাটা ফেরত দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আওতাভুক্ত। থানার কাজ শেষে এটি দুদকের কুষ্টিয়া জেলা সমন্বিত উপপরিচালকের কাছে পাঠানো হবে।