চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকা থেকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার মো. তুহিন ও তৌসিফ আহমদকে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ৩৪ বছর বয়সী তুহিন তাদের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী ও ইয়াবা কারবারি। শনিবার গভীররাতে তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তুহিন ও তৌসিফ ইয়াবার কারবারে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। আদালতে হাজির করার আগে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তখন তারা ছিনতাই ও ইয়াবার কারবারের জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপনের কথা স্বীকার করেছেন। তাদের ভাড়া করা লোকও আছে। এ সব সিসি ক্যামেরা ও ভাড়া করা লোকের মাধ্যমে পুলিশের গতিবিধি দেখে বিভিন্ন পয়েন্ট ইয়াবা সরবারহ ও ছিনতাই করতেন তুহিন ও তার সঙ্গীরা।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন রোববার সন্ধ্যায় জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পাথরঘাটার বান্ডেল রোড এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারকে থামার সংকেত দেয়া হয়। অমান্য করে পালানোর সময় গাড়িতে থাকা চার যাত্রী পালিয়ে যায়। এ সময় তুহিন ও তার সঙ্গী ২৫ বছর বয়সী তৌসিফকে একটি অবৈধ অস্ত্র ও ৬০৫টি ইয়াবাসহ আটক করা হয়।
ওসি নেজাম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তুহিন পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী ও ইয়াবা কারবারি। তিনি ও তার দুই ভাই মিলে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে এবং ভাড়া করা লোকের মাধ্যমে পুলিশের গতিবিধি দেখে সুযোগ বুঝে ইয়াবা পাচার ও ছিনতাই করত বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি।
‘ভাড়া করা লোকগুলো পুলিশের আশপাশেই অবস্থান করেন। তুহিন নগরীর বিভিন্ন জায়গায় কখনও র্যব সদস্য, কখনও পুলিশ সেজে ডাকাতি ও ছিনতাই করতেন।’
ওসি জানান, গ্রেপ্তার দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় রোববার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।