চুয়াডাঙ্গায় বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে নারী ও শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ তেল পাম্পের কাছে রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মোটরসাইকেলচালক উপজেলার রনগোহাইদ গ্রামের জাহারুল ইসলাম এবং তার ভাতিজি ফাবিহা আক্তার।
আহত বাসযাত্রীরা হলেন দামুড়হুদার দশমীপাড়ার খাদিজা বেগম ও তার মেয়ে মিম্মাতুল দিশা, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার এতিমখানাপাড়ার তহমিনা খাতুন, সদর উপজেলার পিরোজখালী গ্রামের হাবিবা খাতুন, একই উপজেলার শ্রীকোল বোয়ালিয়া গ্রামের সাধনা আক্তার মীম, সরোজগঞ্জ বাজারপাড়ার বিউটি খাতুন ও ছেলে মাহিম ইসলাম, একই এলাকার উম্মে হাবিবা ও আফরোজা খাতুন, ঝিনাইদহের ডাকবাংলা গ্রামের সানজিদা খাতুন, সাবদালপুরের সুমাইয়া খাতুন ও তার ভাই আবু উবাইদা (১১) এবং মেহেরপুরের হরিরামপুর গ্রামের আব্দুল আলিম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে ডিঙ্গেদহ তেল পাম্পের কাছে যাত্রীবাহী বাসটির সামনে হঠাৎ করে মোটরসাইকেলটি চলে আসে। সংঘর্ষ এড়াতে ব্রেক করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে যায়। মোটরসাইকেলচালক জাহারুল ও তার ভাতিজি পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।
উদ্ধারের পর তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) এহসানুল হক তন্ময় জানান, আহতের মধ্যে মোটরসাইকেলচালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার একবার রক্ত বমি হয়েছে। এ ছাড়া বাকি আহতের অবস্থা শঙ্কামুক্ত।
চুয়াডাঙ্গার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, দুর্ঘটনার পর বাসচালক ও তার সহযোগীরা পালিয়েছেন। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।