চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চার শিশুশিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বাবা শনিবার রাত ১১টার দিকে সাতকানিয়া থানায় মামলা করেন।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে শিশুশিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনার রেশ না কাটতেই উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের গারাংগিয়া রংগিপাড়া হেফজখানা ও এতিমখানায় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়ে শনিবার বিকেলে মাদ্রাসাটির শিক্ষক কামরুল হাসানকে আটক করে পুলিশ।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। রোববার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার ওই চার শিশুকে মারধরের পর একজনকে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার তাকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শিশুটি এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন।
সম্প্রতি হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমির এক শিশুশিক্ষার্থীকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমিতে শিশুশিক্ষার্থীকে মাদ্রাসাশিক্ষকের পেটানোর দৃশ্য।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে মারধর করছেন শিক্ষক মো. ইয়াহইয়া। ওই দিনই রাত দেড়টার দিকে মাদ্রাসা থেকে শিশুশিক্ষার্থীটিকে উদ্ধার করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন।
নির্যাতনকারী শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকেও ওই সময় আটক করা হয়। ১০ মার্চ বিকেলে শিশুটির বাবা থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখায়।