যশোরের অভয়নগরের শুভরাডা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুর আলীর খুনিকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার রাত ১০টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাহিনীটির পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান ইউপি মেম্বার নুরকে গুলি করে হত্যা করেন।
মিজানুর রহমান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
গেল ৭ মার্চ অভয়নগরের শুভরাড়া ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকায় রাত ৮টার দিকে গুলি করে হত্যা করা হয় ইউপি সদস্য নুর আলীকে। সে সময় তার ১৬ বছরের ছেলে ইব্রাহিমও আহত হয়। এ ঘটনায় পরদিন মামলা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভয়নগর উপজেলার রানাগাতি গ্রাম থেকে মিজানুরসহ তিনজনকে আটক করা হয়। অন্যরা হলেন সোহাগ গাজী ও মিজান গাজী। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৬-এর সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মিজানুর নিজেই গুলি করে নুর আলী মেম্বারকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’
এর আগে শনিবার ভোরে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয় তিনজনকে।
যশোরের অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার তৌহিদুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন যশোরের অভয়নগরের নাউলী আড়পাড়া গ্রামের সুলতান গাজী ও একই গ্রামের ফুরকান আকুঞ্জি।
তিনি জানান, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাসের নেতৃত্বে একটি দল জানতে পারে ১১ মার্চ নুর আলী মেম্বারের সহযোগী ফারুক খানকে মোবাইল ফোনে কল করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। মোবাইল ট্র্যাক করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ।
পরে সিদ্দিরপাশা নাউলী আড়পাড়া এলাকা থেকে দুইজনকে আটক করার কথা জানান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশে তৈরি শাটারগান, দুইটি রামদা ও তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন ফারুককে হুমকি দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
ওই দুজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।