চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে শিশুশিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার সাতকানিয়া উপজেলায় মাদ্রাসার চার শিশুকে বেধড়ক পিটুনির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের গারাংগিয়া রংগিপাড়া হেফজখানা ও এতিমখানায় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগ পেয়ে শনিবার বিকেলে মাদ্রাসাটির শিক্ষক মো. কামরুল হাসানকে আটক করেছে পুলিশ।
ওসি আনোয়ার জানান, বৃহস্পতিবার রংগিপাড়ার আবু তাহেরের ছয় বছরের ছেলে মো. আব্দুল্লাহসহ চার শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেন মাদ্রাসার শিক্ষক কামরুল হাসান। আব্দুল্লাহকে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার তাকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। শিশুটি এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন।
শিক্ষকের পিটুনিতে ক্ষতবিক্ষত এক মাদ্রাসাছাত্রের পিঠ
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় শনিবার আবু তাহের থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তারা ওই শিক্ষককে আটক করেন। তিনি এখন থানাহাজতে রয়েছেন। মামলার পর তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
সম্প্রতি হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমির এক শিশুশিক্ষার্থীকে বেদম পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমিতে শিশুশিক্ষার্থীকে মাদ্রাসাশিক্ষকের প্রহার। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া
মঙ্গলবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে মারধর করছেন শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া। ওই দিনই রাত দেড়টার দিকে মাদ্রাসা থেকে শিশুশিক্ষার্থীটিকে উদ্ধার করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন।
নির্যাতনকারী শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকেও ওই সময় আটক করা হয়। ১০ মার্চ বিকেলে শিশুটির বাবা থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখায়।