নরসিংদীর মাধবদীতে বড় ভাইকে খুনের দায় স্বীকার করে শনিবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন জহিরুল নামের এক যুবক।
তিনি বলেন, ‘সোহাগ (বড় ভাই) সেদিন নেশা খেয়ে মা-বাবা, বড়ভাই ও আমাকে মারধোর করেন এবং আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে। আমার কাছে খারাপ লেগেছে, তাই তাকে ব্যাট দিয়ে আঘাত করি। আঘাতের পর সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের সবাই মিলে লাশ লুকিয়ে ফেলি।’
আদালতের বরাত দিয়ে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান নিউজবাংলাকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় মা-বাবাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাধবদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তানভীর আহমেদ। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন জহিরুল, তার স্ত্রী নওশীন আক্তার মীম, মা মাসুদা বেগম, বাবা সানাউল্লাহ এবং সোহাগের মরদেহ গুম করার প্রধান সহযোগী আরমান মিয়া।
তিনি আরও জানান, গত ১ মার্চ রাত ৯টার দিকে সোহাগকে তার ভাই জহিরুল হত্যা করেন। এরপর জহিরুলের মা মাসুদা বেগম ও বাবা সানাউল্লাহসহ কয়েকজনের সহযোগিতায় বাড়ির পাশের একটি ডোবায় মাটি চাপা দিয়ে মরদেহ গুম করা হয়।
পরে মাধবদী থানা-পুলিশ ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে একই উপজেলার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের দাইরের পাড় এলাকায় গত মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালায়। এ সময় জহিরুলের স্ত্রী মীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মীমের তথ্য অনুযায়ী সোহাগের মরদেহ বাড়ির কাছে প্রায় ১০ ফুট মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাষ্ট্র পক্ষ মাধবদী থানায় মামলা করে।ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার জহিরুল, তার স্ত্রী মীম এবং সহযোগী আরমান মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।