বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোংলা বন্দরে ইনারবার ড্রেজিং শুরু

  •    
  • ১৩ মার্চ, ২০২১ ১৯:৪২

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মোংলা বন্দরের গতিধারা কয়েকগুণ বাড়াতে কাজটি শেষ হবে ২০২২ সালে। এতে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বন্দর জেটিতে জাহাজ আগমন নিশ্চিত হবে। ৭৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ইনারবার ড্রেজিং কাজটি করা হচ্ছে।

মোংলা বন্দরের নাব্য সংকট নিরসনে পশুর চ্যানেলের জয়মনির গোল থেকে বন্দর জেটি পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার ইনারবার ড্রেজিং শুরু হয়েছে।

শনিবার দুপুরে মোংলার জয়মনির গোলে ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘মোংলা বন্দরের গতিধারা কয়েকগুণ বাড়াতে কাজটি শেষ হবে ২০২২ সালে। এতে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বন্দর জেটিতে জাহাজ আগমন নিশ্চিত হবে। ৭৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ইনারবার ড্রেজিং কাজটি করা হচ্ছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনারবার ড্রেজিং হলে ৯.৫০ মিটার থেকে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ মোংলা বন্দর জেটিতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারবে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে মাত্র ৭ মিটার গভীরতার জাহাজ আসতে পারে।’

তিনি জানান, চীনা কোম্পানি জেএইচসিইসি এবং সিসিইসিসি ঠিকাদার কোম্পানি ড্রেজিং কাজ করবে। তারা ২১৬ দশমিক ০৯ লাখ ঘনমিটার বালু ড্রেজিং করবে। ইনারবার ড্রেজিংয়ের ফলে উত্তোলন করা পলিমাটি ও বালু ফেলার জন্য পশুর নদীর তীরের ৫০০ একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এরইমধ্যে বন্দরের আউটার বার ড্রেজিং করায় বন্দরে প্রায় ১০ শতাংশ জাহাজ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।

মোংলা বন্দরে ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন করেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: নিউজবাংলা

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া পর্যন্ত চ্যানেলের মোট দৈর্ঘ্য ১৪৫ কিলোমিটার। মোংলা বন্দর জেটি হতে হারবারিয়া (জয়মনির গোল) পর্যন্ত প্রায় ১৯ কিলোমিটার ইনারবার হিসেবে চিহ্নিত। ইনারবার চ্যানেলের বর্তমান গভীরতা ৫ দশমিক ৫ মিটারের কম।

এই গভীরতায় জোয়ারের সুবিধা নিয়ে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৭ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ মোংলা বন্দর জেটিতে প্রবেশ করতে পারে।

সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে যেসব কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসে সেগুলো লোড অবস্থায় প্রায় ৯ দশমিক ৫০ মিটার ড্রাফটের হয়ে থাকে। তাই নাব্য সংকটের কারণে এসব জাহাজ মোংলা বন্দরে সরাসরি প্রবেশ করতে পারে না বলেও জানান কর্তৃপক্ষ।

উদ্বোধনে বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর