নড়াইল সদর উপজেলায় বর্গাচাষিকে জেলে পাঠিয়ে তার ক্ষেতের ধান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে জমির মালিকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে উপজেলার মূলদাইড় গ্রামে ওই জমিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
গীতা রাণী বালার অভিযোগ, তার স্বামী বর্গাচাষি সুনীল বালা তালতলা গ্রামের জাহিদ মুন্সীর ১৮ শতক জমিতে ইরিধান আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশ এসে এই জমিতে আবাদ করার বিষয়ে কথা বলার জন্য সুনীলকে থানায় নিয়ে পরদিন কোর্টে চালান করে।
এরপর শুক্রবার ওই গ্রামের গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একদল লোক এসে জমির ধান নষ্ট করে।
এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা আমার জমি এবং এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আমার জমি সুনীল বালা ও ডাবলু দখল করে খাচ্ছিল। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। সেজন্য পুলিশ সুনীল বালাকে ধরে নিয়ে গেছে। আমি পুলিশকে জানিয়েই আমার জমি পরিষ্কার করেছি।’
নড়াইল সদর উপজেলার মূলদাইড় গ্রামে জমিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ছবি: নিউজবাংলা
জাহিদ মুন্সি বলেন, ‘গোলাম মোস্তফা আমার চাচাতো চাচা। ৩৬ বছর আগে আমার বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমাদের জায়গাজমি ভোগদখল করে আসছিলেন। ২০০১ সালে আমি কাজের জন্য কুয়েত চলে যাই। সেখানে থাকাকালীন তিনি আমার সদর থানাধীন ১৩৭ নম্বর তালতলা মৌজার খতিয়ান নম্বর ৮৫-এর সাবেক দাগ নম্বর ৪৪ এর অধীনে ১৮ শতাংশ ধানী জমি জোরপূর্বক ভোগ দখল করতে থাকে।
‘এরপর ২০১৫ সালে আমি দেশে ফিরে আমার জমি ভোগদখল করতে থাকি। তখন থেকেই চাচা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। আমিই সুনীলকে ওই জমি বর্গা করতে দেই।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘বর্গাচাষির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উপপরিদর্শক (এসআই) শোভনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সুনীলের জামিনের জন্য সহযোগিতা করা হবে।’