রংপুর মহানগরী তাঁতীপাড়া এলাকায় নিখোঁজের এক মাস পরে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এক শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে ওই লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সিমান বাবুর বয়স ৭ বছর। তাঁতীপাড়া এলাকায় নানা-নানির কাছে থাকত সে।
মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোফাজ্জল হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, তাঁতীপাড়ার সাইফুল ইসলাম একটি বাড়ি করছিলেন। ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে পড়েছিল বাবুর লাশ। গন্ধ বের হলে নির্মাণশ্রমিকরা সবাইকে বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, লাশ দেখে চেনার কোনো উপায় ছিল না। একদম গলে গেছে। শুধু পোশাক দেখেই তার নানি আরজিনা বেগম চিনেছেন।
সিমানের নানা আব্দুস সালাম বলেন, ‘গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি দুপরে ভাত খাইছে। আর বাড়িত আইসে নাই। হামরা মেলা জাগাত খুঁজচি। বাবুক না পায়া পরে থানাত ১৫ তারিখ জিডি করি।
‘কাইও খোঁজ দিবার পায় না। এটা কি হইলো কিছু বুছতেছি না। তোমরা তদন্ত কর, তাহলে কী হইচে বের হইবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোর বিটিক (মেয়েকে) বাবুর বাপ তালাক দিচে। সেলা (তখন) থাকি মোর ভাইটা (নাতি) হামার কাচোত থাকে। ওর নানি ওক খুব আদর করি বড় করতেছে।’
মেট্রোপলিন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহত শিশুটির বাবা-মায়ের মধ্যে ডিভোর্স হওয়ায় সে নানা-নানির কাছে বড় হচ্ছিল। তার মা ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করেন আর বাবা লালমনিরহাটে থাকেন। এখনও কেউ অভিযোগ করেননি। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি।’