নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজন মারা গেছে।
নিহত কিশোরের নাম সাব্বির হোসেন। সে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন ছিল। এ নিয়ে শিশুসহ একই পরিবারের চারজন নিহত হলেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে দগ্ধ ১৮ মাসের শিশু মিনহাজ ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে স্কুলছাত্র মো. মাহফুজ ও মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে পোশাকশ্রমিক মো. মিশালের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কিশোর সাব্বিরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার শরীরের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে যায়।
সাব্বিরের ফুফা সুলতান মিয়া জানান, ঘটনার তিন দিন আগে চাচাতো ভাই মিশালের বাড়িতে বেড়াতে যায় সাব্বির।
ফতুল্লার মাসদাইরের পতেঙ্গা এলাকায় মিশেলের বাড়িতে সোমবার (৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে দগ্ধ হন মো. মিশাল, তার স্ত্রী মিতা বেগম, শিশুকন্যা আফসানা আক্তার, শিশুপুত্র মিনহাজ, চাচাতো ভাই মো. মাহফুজ ও সাব্বির হোসেন। তাদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন নিউজবাংলাকে জানান, গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপ থেকে গ্যাস লিক হয়ে ওই ফ্ল্যাটে জমে ছিল। সেই থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার পড়ে ছিল। বিস্ফোরণে তিনটি কক্ষে আগুন ধরে যায়। ফ্ল্যাটে থাকা আসবাব পুড়ে গেছে, দরজা-জানালা ভেঙে গেছে।
ফেনীতে বাড়িতে বিস্ফোরণ। ছবি: নিউজবাংলা
এর আগে গত ৫ মার্চ রাতে ফেনী পৌরসভার দক্ষিণ চাড়িপুরের একটি ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণ হয়। দগ্ধ হন মা ও দুই মেয়ে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করে পরদিন ফেনীর পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী জানান, চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে ফ্ল্যাটে জমে ছিল। তা থেকে বিস্ফোরণ হয়।
দগ্ধ মা ও এক মেয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আরেক মেয়েকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।