গাজীপুরের কাশিমপুরে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে ঘুমন্ত স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশুপুত্র দগ্ধ হয়েছে।
কাশিমপুরের ভূইয়াপাড়া এলাকায় শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার কর্মী সুমন মিয়া, তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও পাঁচ বছরের ছেলে সাকিন মাহামুদ। তারা ভূইয়াপাড়া এলাকার ওই বাড়িটিতে ভাড়া থাকেন।
কাশিমপুর জিএমপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা এই তথ্য জানিয়েছেন। দগ্ধ ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাশের বাড়ির জব্বার আলী জানান, ‘ভোরে সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে ঘুম ভাঙে। উঠে গিয়ে দেখি সুমনদের বাড়ির দরজা, দেয়াল পড়ে আছে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা পাঠানো হয়।’
বাড়িওয়ালা জাকির হোসেন দাবি করেন, রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটেছে।
তবে ওসি মাহবুবে খোদা বলেন, ‘সেপটিক ট্যাংকের উপর ওই বাড়িটির রান্নাঘর ছিল। হঠাৎ গ্যাস বিস্ফোরণে বিল্ডিংয়ের তিনটি রুম ভেঙে যায়। সেপটিক ট্যাংকের ফাটল দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এখানেই বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে নিশ্চিত হতে তদন্ত কমিটি করা হবে।’
এর আগে ৮ মার্চ মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ভবনের ষষ্ঠ তলায় গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপ থেকে গ্যাস লিক হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দগ্ধ হন পোশাকশ্রমিক মো. মিশাল, তার স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ছয় সদস্য।
তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে মারা যান মিশাল, তার শিশুপুত্র মিনহাজ, চাচাতো ভাই মো. মাহফুজ ও ফুফাতো ভাই সাব্বির হোসেন।
৫ মার্চ রাতে ফেনী শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভবনে ঘরের ভেতর চুলা থেকে বের হওয়ার গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এতে দুই মেয়েসহ দগ্ধ হন মেহেরুন নেছা। তাদেরও ভর্তি করা হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মৃত্যু হয় মেহেরুন নেছা ও তার ছোট মেয়ে হাসফার।