দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরলেন দুই বাংলাদেশি নাগরিক।
শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সমীর কুমার মজুমদার ও শায়েস্তারা বেগম ওরফে শালিনতারা নামের ওই দুইজন দেশে ফেরেন।
এক মানবাধিকার কর্মীর প্রচেষ্টায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারা দেশে ফেরেন।
শায়েস্তারা বেগমের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গুড়িগ্রামে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দেলী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। সমীর কুমার মজুমদারের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামে।
মানবাধিকার কর্মী সৈয়দ খায়রুল আলম জানান, সমীর কুমার মজুমদার প্রায় আট বছর এবং শায়েস্তারা বেগম ১৩ বছর ধরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় ছিলেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি আমার নিজ এলাকার (নড়াইল) একটি মেয়েকে খুঁজতে আগরতলার মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে সমীর ও শায়েস্তারার খোঁজ পাই। পরে তাদের ঠিকানা জোগাড় করে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে দুই দেশের হাই কমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তাদেরকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।’
আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সমীর ও শায়েস্তারা আগরতলার মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সৈয়দ খায়রুল আলমের সহযোগিতায় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
সমীর কুমার মজুমদারের ছোট ভাই অসীম কুমার মজুমদার জানান, ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন সমীর। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। দেড় বছর আগে জানতে পারেন তার ভাই আগরতলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
শায়েস্তারা বেগমের ভাই জয়নাল আবেদীন জানান, তার বোন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। প্রায় ১৩ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। দুই বছর আগে মানবাধিকারকর্মী খায়রুল আলমের মাধ্যমে তার খোঁজ পান।
জয়নাল দুই দেশের সরকার ও খায়রুল আলমকে ধন্যবাদ জানান।