মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুলতানা আক্তার নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
তবে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ এনে সুলতানার শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন তার বাবার বাড়ির লোকজন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী ওয়াজকুরুনী মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত সুলতানা চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের মিছির আলীর মেয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা শরীফ মিয়া, মানছুরা বেগম ও ফাহিমা আক্তার নিউজবাংলাকে জানান, গৃহবধূ সুলতানার স্বামী ওয়াজকুরনী মুদি দোকানদার। দুপুর দেড়টার দিকে রান্নাবান্না শেষ করে শ্বশুরকে দিয়ে দোকানে স্বামীর জন্য খাবার পাঠিয়ে দেন সুলতানা। এরপর মোটরে পানি তুলতে যান তিনি। ট্যাংক উপচে পানি পড়তে থাকলে পাশের বাড়ির লোকজন তাকে ডাকতে এসে দেখেন সুলতানা মাটিতে পড়ে আছেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে সুলতানাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এদিকে খবর পেয়ে সুলতানার বাবার বাড়ির লোকজন ওয়াজকুরুনীর বাড়িঘরে হামলা চালান। এ সময় তারা আলমারি, ফ্রিজ, শোকেসসহ নানা আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।
সুলতানার বাবা মিসির আলী ও মা শাহনাজ বেগম বলেন, চার বছর আগে উপজেলার মধ্য ভাটেরচর গ্রামের ওয়াজকুরুনী মোল্লার সঙ্গে তার মেয়ে সুলতানার বিয়ে দেন। এই দম্পতির দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
তারা আরও বলেন, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওয়াজকুরনী তার স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করতেন। শেষমেশ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়াজকুরনী বলেন, তার মা তার মেয়েকে নিয়ে একটি বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলেন। আর তাকে খাবার দিতে তার বাবা গিয়েছিলেন দোকানে। এটি একটি দুর্ঘটনা।
গজারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তানভির হাসান জানান, গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।